সেলিম সানোয়ার পলাশ, রাজশাহী ব্যুরোঃ মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকে কৃষিপণ্য, ওষুধ, খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাজশাহী জেলার সকল মার্কেট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ সোমবার (১৮ মে) দুপুর তিনটায় জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হকের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়
সভা শেষে জেলা প্রশাসক জানান, জনস্বার্থে রাজশাহী মহানগরী এবং জেলার সকল উপজেলার ওষুধ, খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া অন্যান্য মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ এবং প্রশাসন। এর আগে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে সারাদেশের মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সরকারি সিদ্ধান্ত আসে।
সেদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট খুলেছে।তবে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় সভা করে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী মহানগরীর সকল মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান।কিন্তু রাজশাহী নগরীর ব্যবসায়ীরা মেয়র ও সংসদ সদস্যের সিদ্ধান্ত না মেনে মার্কেটগুলো খুলেছিল। আরডিএ মার্কেটের প্রধান ফটক বাইরে থেকে বন্ধ রাখা হলেও পাশের বিভিন্ন বিকল্প রাস্তা দিয়ে ক্রেতাদের ভেতরে ঢুকিয়ে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন দোকানীরা। এসব দোকানে ঈদের কেনাকাটা মানুষের ছিলো উপচে পড়া ভীড়। শিশুদের কোলে করেও কেনাকাটা করতে আসছিলেন নারীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা মাস্কও ব্যবহার করেননি। রাস্তায়ও বের হচ্ছিল অজস্র মানুষ। নগরীর রাস্তাঘাটে অটো ও ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচলও ছিলো অনেকটাই স্বাভাবিক।
মার্কেট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখলে খুব ভালো। কিন্তু যেহেতু রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে দোকানপাট খোলা হচ্ছে, তাই তাদের বাধা দেয়া যাবে না। তবে মার্কেটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না হলে প্রশাসন অবশ্যই কঠোর হবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৯ মে) থেকে সব ধরনের দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রাখা হবে। এই সিদ্ধান্ত রাজশাহী মহানগরী ছাড়াও সকল উপজেলাতে কার্যকর করা হবে। তবে কৃষিপণ্য, কাঁচাবাজার, ওষুধ ও খাবারের দোকান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।’